দেশব্যাপী আজ (বৃহস্পতিবার) উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদ শুধু আনন্দের নয়, ত্যাগেরও। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় প্রিয় বস্তুকে কোরবানি করে সেই ত্যাগের কথাকেই স্মরণ করা হয়। এটি মানুষকে পশুর সাথে অন্তরের পশুত্বকেও কোরবানি দিতে শিক্ষা দেয়।
ঈদুল আজহার অন্যতম কার্যাবলি হলো ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করা। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দ্বিধাহীনভাবে তার কাছে আত্মসমর্পণ ও শর্তহীনভাবে তাকে মেনে নেওয়াই হলো ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশের পশুর হাটগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে চলছে কেনা-বেচা। স্বজনদের নিয়ে ঈদ উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঈদের দিনও সব বিভাগে বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখন বৃষ্টি থাকলেও ঈদের দিন তা কিছুটা কম হতে পারে।
ঈদুল আজহার সাথে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। মঙ্গলবার পবিত্র মক্কা নগরীর অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজ পালিত হয়েছে।
প্রায় চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইবরাহীম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইবরাহীম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকেন।
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য মহান আল্লাহ কোরবানি ফরজ করে দিয়েছেন। এজন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করাই এ দিনের উত্তম ইবাদত। সেই ত্যাগ ও আনুগত্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই মসজিদে সমবেত হবেন এবং ঈদুল আজহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন।
পাঠকের মতামত